কোথাও হয়তো ঘটেছে প্রলয়
-- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
প্রকৃতি নিচ্ছে প্রতিশোধ এবার।
এতোদিন চুপচাপ সে দেখেছে
মানুষের অত্যাধিক আঘাত সমগ্র
পৃথিবী জুড়ে। দেশে বিস্তৃত অঞ্চল এখন
অচল। মাটি ও মানুষের সম্পর্ক নেই সেখানে।
কোথাও হয়তো ঘটেছে প্রলয় বৃষ্টি ও বাতাসে।
ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে
বিদ্ধ¯— মানুষ; কোথাও মৃত্যু ঘটছে তাদের
খাদ্য ও বস্ত্রের অভাবে। গৃহহীন তারা অনেক
এলাকায়। অজানা অচেনা নয় জীবন, তবুও
রহস্যময় মনে হয় এদের অনেককে। অযতনে
লালিত সবুজ ঘাস পুড়ে গেছে অজান্তে। সন্তর্পণে
আমি হেটেছি অনেক। কোথায় ঘটলো প্রলয়
দেখতে নীরব অন্ধকারে। সত্যি কি ঘটেছে প্রলয় ?
শহর থেকে সান্নিধ্য গেছে হারিয়ে-
গ্রামে-গঞ্জে নেই গন্ধ ফসলের। পোড়া মাটি
ধুলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে আকাশে। কুয়াশা
ঘিরে ফেলছে নদী নালা রাস্তাঘাট লোকালয়।
আমাকে গড়তে হবে আবার হারিয়ে যাওয়া
মাটি ও ফসলের আদি সম্পর্ক। নদীতে
আনতে হবে জোয়ার একাধিক ঋতুতে।
এবার আকস্মিক শীতে যেতে হবে ভাঙ্গনে।
আমার প্রিয় এ অঞ্চল এতো বিষন্ন কেনো ?
কেনো এতো নীরব প্রিয় পরিচিত মানুষ সব,
আমি কি চলে গেছি দূরে তাদের ছেড়ে ?
ক্লান্ত নই, তবুও ক্লান্তি নামে ভীষন। যখন
দৃষ্টি আটকে যায় প্রকৃতির ক্রন্দনের নিকটে।
এইতো এলাম আবার তোমাদের মাঝে
এলাম অতি দ্রুত সব পেছনে ফেলে;
দিন-রাত্রি শীত-বসন্ত সব ছেড়ে দিয়ে
আমি ঘন হতে চাই, এ ধুলো ও ধ্বনিতে।
আমার ইতিহাস এবার আমাকেই লিখতে হবে।
সাহিত্য, সংকৃতি আচার আকার সবকিছু
দ্র“ত বদলে যাচ্ছে জেনেও আমাকে আবার
সৃষ্টি করতে হবে প্রান্তর; ফোটাতে হবে হাঁসি,
আঁকতে হবে ছবি নতুন করে তাদের। পাথর
সরিয়ে আমাকে ফলাতে হবে ফসল অবিরাম।
একটু দাঁড়াও আমি আসছি-
কান্নায়, হাঁসিতে, শব্দে, জাগরণে
আমি আসছি তোমাদের মাঝে
সবকিছু পেছনে ফেলে। বঞ্চিত বালক
অনিবার্য কারণে আর থাকবে না পেছনে ক্রন্দনরত।
আমি আসছি তোমাদের দুঃখ বয়ে বেড়াতে
আমাকে তোমরা গ্রহন করো অবশেষে। ক্রান্তিরকালে।
-------------------
-- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
প্রকৃতি নিচ্ছে প্রতিশোধ এবার।
এতোদিন চুপচাপ সে দেখেছে
মানুষের অত্যাধিক আঘাত সমগ্র
পৃথিবী জুড়ে। দেশে বিস্তৃত অঞ্চল এখন
অচল। মাটি ও মানুষের সম্পর্ক নেই সেখানে।
কোথাও হয়তো ঘটেছে প্রলয় বৃষ্টি ও বাতাসে।
ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে
বিদ্ধ¯— মানুষ; কোথাও মৃত্যু ঘটছে তাদের
খাদ্য ও বস্ত্রের অভাবে। গৃহহীন তারা অনেক
এলাকায়। অজানা অচেনা নয় জীবন, তবুও
রহস্যময় মনে হয় এদের অনেককে। অযতনে
লালিত সবুজ ঘাস পুড়ে গেছে অজান্তে। সন্তর্পণে
আমি হেটেছি অনেক। কোথায় ঘটলো প্রলয়
দেখতে নীরব অন্ধকারে। সত্যি কি ঘটেছে প্রলয় ?
শহর থেকে সান্নিধ্য গেছে হারিয়ে-
গ্রামে-গঞ্জে নেই গন্ধ ফসলের। পোড়া মাটি
ধুলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে আকাশে। কুয়াশা
ঘিরে ফেলছে নদী নালা রাস্তাঘাট লোকালয়।
আমাকে গড়তে হবে আবার হারিয়ে যাওয়া
মাটি ও ফসলের আদি সম্পর্ক। নদীতে
আনতে হবে জোয়ার একাধিক ঋতুতে।
এবার আকস্মিক শীতে যেতে হবে ভাঙ্গনে।
আমার প্রিয় এ অঞ্চল এতো বিষন্ন কেনো ?
কেনো এতো নীরব প্রিয় পরিচিত মানুষ সব,
আমি কি চলে গেছি দূরে তাদের ছেড়ে ?
ক্লান্ত নই, তবুও ক্লান্তি নামে ভীষন। যখন
দৃষ্টি আটকে যায় প্রকৃতির ক্রন্দনের নিকটে।
এইতো এলাম আবার তোমাদের মাঝে
এলাম অতি দ্রুত সব পেছনে ফেলে;
দিন-রাত্রি শীত-বসন্ত সব ছেড়ে দিয়ে
আমি ঘন হতে চাই, এ ধুলো ও ধ্বনিতে।
আমার ইতিহাস এবার আমাকেই লিখতে হবে।
সাহিত্য, সংকৃতি আচার আকার সবকিছু
দ্র“ত বদলে যাচ্ছে জেনেও আমাকে আবার
সৃষ্টি করতে হবে প্রান্তর; ফোটাতে হবে হাঁসি,
আঁকতে হবে ছবি নতুন করে তাদের। পাথর
সরিয়ে আমাকে ফলাতে হবে ফসল অবিরাম।
একটু দাঁড়াও আমি আসছি-
কান্নায়, হাঁসিতে, শব্দে, জাগরণে
আমি আসছি তোমাদের মাঝে
সবকিছু পেছনে ফেলে। বঞ্চিত বালক
অনিবার্য কারণে আর থাকবে না পেছনে ক্রন্দনরত।
আমি আসছি তোমাদের দুঃখ বয়ে বেড়াতে
আমাকে তোমরা গ্রহন করো অবশেষে। ক্রান্তিরকালে।
-------------------
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.