আশায় বুক বেঁধে থাকি
------হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
বদলে যাচ্ছে যেনো সব কিছু
আমি দেখছি অবাক বিষ্ময়ে-
আকাশ মাটি মানুষ বদলে যাচ্ছে;
প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ স্পর্শেও
বদলের হাওয়া- পরিবর্তনের সুর।
ঋতুর চরিত্রগুলোও যেনো তাদের
পরিচ্ছদগুলোর ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়েছে,
শ্রাবনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বর্ষাকে
অঝোরে ঝরায় শরৎ অকালে
ভাসায় শহর নগর বন্দর গাঁও
বিস্তির্ন জনপদ হাবুডুবু খায়
দুর্ভোগের সীমানা পেরিয়ে।
ভাবছি কেনো এমন হচ্ছে? কেনো
বিবর্তনের ধারা সব কিছু ওলট-পালট করে দেয়
ঋতুরানী কোনো তার স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না
নিয়ে তুষ্ট নয় এখন? আগের মতো
কেনো চিনতে পারিনা
বছরের ছয় খন্ড উপাখ্যান!
আমার পারিপার্শিক রূপ দেখে
আমি আঁতকে উঠি- বন্ধুকে চিনতে
ভুল করি, রূপ বদলের আতঙ্কে থাকি।
মানুষের মানবিকতা বোধের
নির্মম অবক্ষয়ের মতো-
প্রকৃতির রূপের বিবর্তন দেখতে চাইনা-
শান্তনা পেতে চাই প্রকৃতিকে দেখে।
পাখীরা পৃথিবীর সব প্রান্তে বসে
গাইবে একই সুরে গান, ফুল ফুটবে
একই গন্ধ রূপ আর রং নিয়ে
নদী ছুটবে পাহাড় থেকে সাগরে
বসন্ত তার আপন মহিমায়
আবির্ভূত হবে শীতের আবরন ছেড়ে!
কিন্তু মনে হয় সব কিছু যেনো
একে একে বদলে যাচ্ছে ঠিক মানুষের
ন্যায়-নীতি আদর্শ বোধের মতো-
কে কার কাছ থেকে শিখছে এসব?
মানুষ না প্রকৃতি? না কি আমার সবই
চোখের ভুল- দেখার ভ্রান্তি!
কোথায় মানুষের সেই সহমর্মীতা বোধ,
একে অপরের আপন হবার বাসনা
কেনো বিবর্ন হয়ে যায়?
ভালবাসা ভুল হয়, প্রেমের পরিনতি
কেনো যুবতির এসিডে ঝলসানো মুখ?
রাজনীতিতে কেনো প্রতিহিংসার অনুপ্রবেশ!
এক মানুষের অলক্ষযে কেনো
লুকিয়ে থাকে প্রাণ-লোভী আর এক
মানুষ রূপের হায়না !
নিরাপরাধ মানুষের বুক কেনো
ঝাঝ্রা হয়ে যায় ঘাতকের
বুলেটে বোমায় গ্রেনেডে!
মানুষ কেনো টুকরো টুকরো হয়?
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নৈতিকতার বিপর্যয়ের
বিষ-বাষ্প কি ছড়িয়ে পড়েছে ঋতুতে
আকাশে বাতাসে নদীতে সমুদ্রে?
পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে কি
মানুষেরই সংক্রামিত রোগে?
তবুও এত কিছুর পরে-
একটি পবিত্র দিনকে সামনে রেখে
আশায় বুক বেঁধে রাখি-
যদি ভেদাভেদহীন আলিঙ্গনে
দু’টি বুকের ভেতর থেকে
একই সাথে একই সুরে গাঁথা
বেজে ওঠা শব্দের মিলনের মতো
আমরা সবাই মিলে থাকতে পারি
যতক্ষণ ওই সুরের স্পন্দন জেগে থাকে!
(ঈদ উপলক্ষ্যে)।
------হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
বদলে যাচ্ছে যেনো সব কিছু
আমি দেখছি অবাক বিষ্ময়ে-
আকাশ মাটি মানুষ বদলে যাচ্ছে;
প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ স্পর্শেও
বদলের হাওয়া- পরিবর্তনের সুর।
ঋতুর চরিত্রগুলোও যেনো তাদের
পরিচ্ছদগুলোর ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়েছে,
শ্রাবনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বর্ষাকে
অঝোরে ঝরায় শরৎ অকালে
ভাসায় শহর নগর বন্দর গাঁও
বিস্তির্ন জনপদ হাবুডুবু খায়
দুর্ভোগের সীমানা পেরিয়ে।
ভাবছি কেনো এমন হচ্ছে? কেনো
বিবর্তনের ধারা সব কিছু ওলট-পালট করে দেয়
ঋতুরানী কোনো তার স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না
নিয়ে তুষ্ট নয় এখন? আগের মতো
কেনো চিনতে পারিনা
বছরের ছয় খন্ড উপাখ্যান!
আমার পারিপার্শিক রূপ দেখে
আমি আঁতকে উঠি- বন্ধুকে চিনতে
ভুল করি, রূপ বদলের আতঙ্কে থাকি।
মানুষের মানবিকতা বোধের
নির্মম অবক্ষয়ের মতো-
প্রকৃতির রূপের বিবর্তন দেখতে চাইনা-
শান্তনা পেতে চাই প্রকৃতিকে দেখে।
পাখীরা পৃথিবীর সব প্রান্তে বসে
গাইবে একই সুরে গান, ফুল ফুটবে
একই গন্ধ রূপ আর রং নিয়ে
নদী ছুটবে পাহাড় থেকে সাগরে
বসন্ত তার আপন মহিমায়
আবির্ভূত হবে শীতের আবরন ছেড়ে!
কিন্তু মনে হয় সব কিছু যেনো
একে একে বদলে যাচ্ছে ঠিক মানুষের
ন্যায়-নীতি আদর্শ বোধের মতো-
কে কার কাছ থেকে শিখছে এসব?
মানুষ না প্রকৃতি? না কি আমার সবই
চোখের ভুল- দেখার ভ্রান্তি!
কোথায় মানুষের সেই সহমর্মীতা বোধ,
একে অপরের আপন হবার বাসনা
কেনো বিবর্ন হয়ে যায়?
ভালবাসা ভুল হয়, প্রেমের পরিনতি
কেনো যুবতির এসিডে ঝলসানো মুখ?
রাজনীতিতে কেনো প্রতিহিংসার অনুপ্রবেশ!
এক মানুষের অলক্ষযে কেনো
লুকিয়ে থাকে প্রাণ-লোভী আর এক
মানুষ রূপের হায়না !
নিরাপরাধ মানুষের বুক কেনো
ঝাঝ্রা হয়ে যায় ঘাতকের
বুলেটে বোমায় গ্রেনেডে!
মানুষ কেনো টুকরো টুকরো হয়?
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নৈতিকতার বিপর্যয়ের
বিষ-বাষ্প কি ছড়িয়ে পড়েছে ঋতুতে
আকাশে বাতাসে নদীতে সমুদ্রে?
পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে কি
মানুষেরই সংক্রামিত রোগে?
তবুও এত কিছুর পরে-
একটি পবিত্র দিনকে সামনে রেখে
আশায় বুক বেঁধে রাখি-
যদি ভেদাভেদহীন আলিঙ্গনে
দু’টি বুকের ভেতর থেকে
একই সাথে একই সুরে গাঁথা
বেজে ওঠা শব্দের মিলনের মতো
আমরা সবাই মিলে থাকতে পারি
যতক্ষণ ওই সুরের স্পন্দন জেগে থাকে!
(ঈদ উপলক্ষ্যে)।
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.